সবার কথা বলি

আগ্রাসী ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশকে

টেস্টে ইংল্যান্ডের নতুন ধারার ‘বাজবল’ কৌশল এবার সাফল্য পেল বিশ্বকাপ আসরেও। আগ্রাসী ও স্বাধীন এক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭৭ বল বাকি থাকতেই হারাল ইংল্যান্ড। তবে ২৪.১ ওভার খেলতেই টাইগার পেসারদের সামনে তারা হারায় ৬ উইকেট। ৩৭ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে মইন আলি নিশ্চিত করে যান ইংল্যান্ডের জয়।

ডিএলএস মেথডে ইংল্যান্ডকে ১৯৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইংলিশ ব্যাটাররা শুরু থেকেই মারমুখী। তবে শুরুর ওভারেই উইকেট হারান ওপেনার ডেভিড মালান। মুস্তাফিজকে আগের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ওভারের শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন মালান।

এরপর গৌহাটিতে চলে জনি বেয়ারস্টো শো। চার, ছয়ের বন্যা বইয়ে দিয়ে ৩.৫ ওভারেই দলকে এনে দেন পঞ্চাশ রান। তবে বেয়ারস্টো ঝড় বেশিক্ষণ রাখতে দেননি মুস্তাফিজ। ফিজের ট্রেডমার্ক ইয়র্কারে বেয়ারস্টো হারালেন বেল। ফেরার আগে জনি বেয়ারস্টো ২১ বলে করেন ৩৪ রান।

রান খরচায় থাকা হাসান মাহমুদ সাফল্য পান হ্যারি ব্রুককে বোল্ড করে। দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্রুক রীতিমতো পরাস্ত, ভাঙে তার অফ স্টাম্প। বেয়ারস্টোর থেমে যাওয়া ঝড় যেন গৌহাটিতে আবার ফিরিয়ে আনলেন জস বাটলার। ব্যাট হাতে তান্ডব চালান শরিফুল, তাসকিনের উপর।

একবার মুশফিকের হাতে জীবন পাওয়া বাটলারকে বিদায় করেন শরিফুল। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩০ রানে থাকা বাটলার ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ। গোল্ডেন ডাক হয়েই ফিরতে পারতেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে তিনিও বেঁচে যান মুশফিকের গ্লাভসেই।

ভয়ংকর হওয়ার আগেই লিভিংস্টোনকে বিদায় করেন তাসকিন। তবে তাসকিনের চেয়ে কৃতিত্ব বেশি মিডে অফে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর। হ্যামার লফটেড ড্রাইভে খেলা লিভিংস্টোনের শট তালুবন্দি করে নেন শান্ত। ৭ রানের বেশি করতে পারেননি লিভিংস্টোন।

বাংলাদেশ টানা ১৭ ওভার শেষ করে ৫ পেসার দিয়ে। ১৮ তম ওভারে আগমন ঘটে স্পিনের। এদিন ইংলিশ ব্যাটাররা বাজবল দেখালেও জো রুট ছিলেন একদম বিপরীত। রানের গতির সঙ্গে উইকেটের আসা-যাওয়া; অন্যদিকে ধীরগতির ইনিংসে দলকে টানতে থাকেন জো রুট।

১১৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ড এরপর ছুটতে থাকে রুট আর মইন আলির জুটিতে। নাসুম-মেহেদীর স্পিন অ্যাটাকের বিরুদ্ধে স্বাচ্ছ্যন্দে খেলতে থাকেন মইন আলি। মাত্র ৩৬ বলে হাঁকিয়েছেন ফিফটি। পরের বলেও ৬ হাঁকিয়ে দলকে জয় থেকে ৪ রান দূরে রেখে মইন আউট হন। নাসুম আহমেদ পান প্রথম উইকেটের দেখা। শেষপর্যন্ত রানে অপরাজিত থাকেন জো রুট।

এর আগে বৃষ্টিতে কমে এসে নির্ধারিত হওয়া ৩৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৮৮। বৃষ্টির পর ৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে কেবল ৩৫ রান।

অভিজ্ঞ লিটন, শান্ত, মুশফিক ব্যর্থ হলেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোলারদের বিপক্ষে লড়াই কেবল তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের। তামিম পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও ফিফটি হাঁকিয়ে মিরাজ খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। মাত্র ৪ ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংকের ঘর।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Get real time updates directly on you device, subscribe now.