ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া পেশি সংকোচন, রক্ত জমাট বাঁধা এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্যও ক্যালসিয়াম অপরিহার্য উপাদান। যদি আপনি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না খান, তাহলে আপনার হাড় দুর্বল হয়ে যাবে। তাই শরীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন।
জেনে নিন, কোন কোন খাবার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে:
১. দুধকে ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুধ সহজে শোষিত হয় এবং দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শরীর সহজেই শোষণ করে নিতে পারে।
২. দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য, যেমন: দই, পনির ইত্যাদি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এসব খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পরিলক্ষিত হবে না।
৩. সবুজ শাক-সবজি ক্যালসিয়ামের বড় উৎস । সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন কে এবং ফাইবার থাকে। যা হাড় মজবুত রাখে। সবুজ শাক সবজি শুধু ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে না, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
৪. দুধের বিকল্পে কিছু খাবার, যেমন: বাদাম দুধ, ওটস দুধ, সয়া দুধে পুষ্টির মান বাড়াতে ক্যালসিয়াম দিয়ে শক্তিশালী করা হয়। তাই এসব পানীয় খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিবে না।
৫. স্যামন ও সার্ডিন জাতীয় মাছের হাড় ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এই মাছগুলো উচ্চ প্রোটিন এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।
৬. দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে। এ ছাড়া দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
৭. চিয়া সিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস, যা হাড় ও দাঁতের জন্য প্রয়োজন। চিয়া সিড ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। যা রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
৮. কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসমৃদ্ধ একটি খাবার। যা শক্তিশালী হাড় গঠনে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভেজানো কাজু বাদাম খেতে পারলে হাড়ের ঘনত্ব বজায় থাকবে এবং অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ থেকেও দূরে রাখবে।